উত্তরাধিকার সূত্রে পেলেও ৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমি রাখা যাবে না
নতুন ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ অনুযায়ী একজন ব্যক্তি যদি উত্তরাধিকার সূত্রে ৬০ বিঘার বেশি কৃষি জমি পেয়ে থাকে তাহলে ৬০ বিঘার বেশি সে নিজের মালিকানা রাখতে পারবে না। ৬০ বিঘা অতিরিক্ত জমি থাকলে নিজের পছন্দমত জমি সংরক্ষণ রেখে অতিরিক্ত জমি ছেড়ে দিতে হবে এবং সরকার নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ দিয়ে উক্ত জমি খাস করতে পারবে।
সচিবালয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, ভূমিসচিব মো. খলিলুর রহমান ও যুগ্ম সচিব মো. খলিলুর রহমান সাংবাদিকদের প্রশ্নে এই তথ্যটি সবার সামনে উপস্থাপন করেন। জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
একসময় জমিদারদের মালিকানাধিনে অধিকাংশ জমি ছিল। সর্বশেষ ১৯৫০ সালের নিয়ম অনুসারে বলা ছিল কারো ৩৭৫ বিঘার বেশি কৃষিজমি থাকতে পারবে না। এরপর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তা কমিয়ে ১০০ বিঘা করেন। আর ১৯৮৪ সালে সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তা ৬০ বিঘা করেন। কিন্তু অধ্যাদেশের আলোকে বিধিমালা না হওয়ায় এটি এত দিনেও বাস্তবায়ন হয়নি। এখন নতুন আইন করে সরকার তা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে। যার মূল কথা হলো কোনো একক ব্যক্তির ৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমি থাকতে পারবে না।
শুধুমাত্র উত্তরাধিকার সূত্রে নয় একজন ব্যক্তির যদি নিজ ক্রয় কৃত জমি এবং উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া জমি মিলিয়ে ৬০ বিঘার বেশি কৃষি জমি হয় তাহলে সে তার পছন্দমতো ৬০ বিঘা জমির মালিকানা রেখে বাকিগুলো ছেড়ে দিতে হবে এবং সরকার এগুলো খাস করবে। অর্থাৎ অবশিষ্ট ভূমি সরকার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ক্ষতিপূরণ দিয়ে খাস করতে পারবে। তবে সমবায় সমিতিসহ ৮টি ক্ষেত্রে ৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমি রাখার সুযোগ রাখা হয়েছে।