নামজারি করতে কত টাকা, কি কি ও কতদিন সময় লাগে জানুন
আপনি যদি জমির নামজারি করতে চান তাহলে অবশ্যই নামজারি করতে কত টাকা লাগে , নামজারি করতে কতদিন সময় লাগে , নামজারি করতে কি কি লাগে এই তথ্যগুলো জানা অবশ্যক। এটি জানার মাধ্যমে আপনার জমির নামজারি করার প্রক্রিয়াটা আরো সহজ হবে।
কারো জমির মালিকানা নিজের নামের রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া কে নামজারি বলে, অর্থাৎ জমির বর্তমান মালিকানা থেকে সংশোধন করে সেটি নতুন মালিকানা স্থানান্তর প্রক্রিয়াকে নামজারি বলা হয়। সাধারণত জমি ক্রয়-বিক্রয় কিংবা দান করার ক্ষেত্রে নামজারি করার প্রয়োজন হয়। আর এই পদ্ধতিতে জমির পূর্বের মালিকানা পরিবর্তন হয়ে নতুন মালিকানা রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত হয়।
বর্তমানে নামজারি পদ্ধতি সম্পূর্ণ অনলাইন করা হয়েছে, আর তাই আপনি যদি কোন জমি ক্রয় করে থাকেন তাহলে নামজারি করতে হলে অনলাইনে আবেদন করতে হবে, যাকে বলা হয় ই-নামজারি। ই নামজারি আবেদন করার একটি বিস্তারিত প্রক্রিয়া রয়েছে যেটি আপনি জানলে নিজে নিজে ঘরে বসে আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদন করতে কি কি লাগে, কত টাকা লাগে এইসব তথ্য আবেদন করার পূর্বে এটি জেনে নেওয়া উচিত।
নামজারি করতে কত টাকা লাগে?
বর্তমানে অনলাইনে ই নামজারি করতে মোট ৳১,১৭০ টাকা লাগে, এর মধ্যে আবেদন দাখিল করার সময় কোর্ট ফি বাবদ ফি ২০ টাকা ও নোটিশ জারি ফি বাবদ ৫০ টাকা, মোট ৭০ টাকা অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে। পরবর্তীতে খতিয়ান প্রস্তুত হলে DCR বাবদ ১,১০০ টাকা অনলাইনের মাধ্যমে পরিশোধ করে খতিয়ান সংগ্রহ করতে পারবেন।
কিছু অসাধু ব্যক্তি অতিরিক্ত ফি দাবি করতে পারে। সরকারি নির্ধারিত মোট ই নামজারি ফি ১,১৭০ টাকার বেশি নয়। কেউ অতিরিক্ত ফি চাইলে স্থানীয় ভূমি অফিস বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
নামজারি করতে কতদিন সময় লাগে?
অনলাইনে নামজারি আবেদন নিষ্পত্তি হতে মোট ২৮ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। কেননা আবেদনটি কয়েকটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে, যেমন ঘোষণা, জমির তফসিল ও গ্রহীতার তথ্য প্রদান দাতার তথ্য সংযুক্তি, ফি প্রদান, এর পরে ডিসিআর খতিয়ান প্রস্তুত হতে মোট ২৮ দিন পর্যন্ত সময় ধার্য করা হয়।
উক্ত সময়ের মাধ্যমে নামজারি আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা অনলাইনে ভূমি মন্ত্রণালয়ের মিউটেশন ওয়েবসাইটে যাচাই করা যায়।
নামজারি করতে কি কি লাগে
অনলাইনে নামজারি আবেদন করতে হলে যে সমস্ত ডকুমেন্ট আপনাকে স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে –
- জমি বা সম্পত্তি ক্রয়ের দলিলের মূল কপি
- বর্তমান খতিয়ান কপি
- দাতা এবং গ্রহীতার এন আই ডি
- দাতাগ্রহীতার পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ভূমি উন্নয়ন করের রশিদ
- ওয়ারিশ সনদ (যদি প্রযোজ্য হয়)
- হেবা দলিল ( প্রযোজ্য ক্ষেত্রে )
- নোটিশ গ্রহণকারী সাক্ষীদের তথ্য
- জমির চৌহদ্দিসহ কলমি নকশা ( প্রযোজ্য ক্ষেত্রে )