দলিল রেজিস্ট্রেশন ফি ২০২৪: ভূমি রেজিস্ট্রেশন খরছ কত জানুন
জমি ক্রয় করার পরে সেটিকে নিজের নামে তালিকাভুক্ত করার জন্য দলিল রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। আর দলিল রেজিস্ট্রেশন করার ক্ষেত্রে দলিল রেজিস্ট্রেশন ফি প্রদান করতে হয়। একেক ধরনের দলিলের রেজিস্ট্রেশন ফি এক এক রকমের হয়ে থাকে। আর তাই নিচে সব ধরনের জমি রেজিস্ট্রি খরচ তুলে ধরা হলো-
জমি রেজিস্ট্রি খরচ 2024
সবচাইতে সহজ মাধ্যম হলো রেজিস্ট্রি খরচ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে ফি নির্ণয় করা। এতে আপনাকে আলাদা আলাদা ভাবে % হিসাব করে যোগ বিয়োগ বা গুণ করে রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ণয় করতে হবে না। তবে অসুবিধা হলো ক্যালকুলেটরে সর্বশেষ আপডেট নাও থাকতে পারে এজন্য ম্যানুয়ালি রেজিস্ট্রেশন ফি হিসাব করাটা সুবিধা জনক এবং ভালো। নিচের দলিল ভেদে জমি রেজিস্ট্রি খরচ তুলে ধরা হলোঃ
জমি, ফ্লাট বা প্লট ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয়ের দলিলকে সাফ কবালা দলিল বলে।
রেজিস্ট্রেশন ফিঃ
দলিল রেজিস্ট্রেশন ফি: হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ১% টাকা। দলিলের মূল্য ২৪,০০০ টাকা বা তার কম হলে নগদ অর্থে এবং ২৪,০০০ টাকার বেশি হলে পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানীয় সোনালী ব্যাংক লিঃ এ, কোড নং ১৪২২২০১ তে জমা করতে হবে (পুরাতন কোড ১৮২৬)।
স্টাম্প শুল্কঃ
হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ১.৫০% তবে সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা (১৮৯৯ সালের স্টাম্প আইনের ১ নম্বর তফশিলের ২২ নম্বর ক্রমিকে উল্লিখিত বর্ণনা অনুসারে)।
দলিলে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকার নন-জুডিসিয়াল স্টাম্প ব্যবহার করা যাবে। স্টাম্প খাতের বাকি অর্থ পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানীয় সোনালী ব্যাংক লিঃ এ কোড নং ১১৬২১০২ তে জমা করতে হবে (পুরাতন কোড ১৩১১)।
স্থানীয় সরকার করঃ
সিটি কর্পোরেশন এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এর অধীন সম্পত্তি হলে হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ২% টাকা, অন্যান্য ক্ষেত্রে সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ৩% টাকা।
(স্থানীয় সরকার করের পরিমাণ ১০০ টাকা বা তার কম হলে নগদ অর্থে এবং ১০০ টাকার বেশি হলে স্থানীয় সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হিসাব নম্বরে পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা করতে হবে।)
উৎস কর (53H):
আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ‘৫৩এইচ’ ধারার কর আরোপের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এস,আর,ও নং ১৮৪-আইন/আয়কর/২০১৪ তারিখ ১ জুলাই, ২০১৪ এর মাধ্যমে আয়কর বিধিমালায় 17II (সতের, রোমান দুই) ক্রমিকে নতুন বিধি সন্নিবেশের মাধ্যমে সারা দেশের জমি/স্থাপনা রেজিস্ট্রেশন কালে তিনটি তফসিল অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে উৎস কর হার নির্দিষ্ট করা হয়-
তফশিল-(a):
নিম্ন লিখিত বাণিজ্যিক এলাকার ভূমি, ভূমি ও বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে কাঠা প্রতি (১.৬৫ শতাংশ=১ কাঠা) উৎস কর হারঃ
(১) ঢাকাস্থ গুলশান, বনানী, মতিঝিল, দিলখুশা, নর্থ-সাউথ রোড, মতিঝিল সম্প্রসারিত এলাকা এবং মহাখালী এলাকার দলিল মূল্যের উপর ৪% টাকা হারে অথবা প্রতি কাঠা ১০,৮০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশী।
(২) ঢাকাস্থ কারওয়ান বাজার এলাকার দলিল মূল্যের উপর ৪% টাকা হারে অথবা প্রতি কাঠা ৬,০০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশী।
(৩) চট্টগ্রাম জেলার আগ্রাবাদ এবং সিডিএ এভিনিউ দলিল মূল্যের উপর ৪% টাকা হারে অথবা প্রতি কাঠা ৩,৬০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশী।
(৪) নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, বাড্ডা, সায়েদাবাদ, পোস্তগোলা এবং ঢাকাস্থ গেন্ডারিয়ার দলিল মূল্যের উপর ৪% টাকা হারে অথবা প্রতি কাঠা ৩,৬০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশী।
(৫) ঢাকাস্থ উত্তরা সোনারগাঁও জনপথ, শাহবাগ, পান্থপথ, বাংলামটর, কাকরাইল দলিল মূল্যের উপর ৪% টাকা হারে অথবা প্রতি কাঠা ৬,০০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশী।
(৬) ঢাকাস্থ নবাবপুর ও ফুলবাড়িয়ার দলিল মূল্যের উপর ৪% টাকা হারে অথবা প্রতি কাঠা ৩,০০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশী
এছাড়া জমির উপর কোন স্থাপনা (Structure), ভবন, ফ্ল্যাট, এপার্টমেন্ট, ফ্লোর স্পেস থাকলে উক্ত স্থাপনার প্রতি বর্গমিটারের জন্য ৬০০ টাকা অথবা দলিল মূল্যের ৪% টাকা, এ দু’টির মধ্যে যেটি বেশী সেটি অতিরিক্ত কর হিসেবে পরিশোধ করতে হবে।
তফশিল-(b):
নিম্ন লিখিত এলাকার ভূমি, ভূমি ও বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে কাঠা প্রতি (১.৬৫ শতাংশ=১ কাঠা) উৎস কর হারঃ
(১) ঢাকাস্থ উত্তরা (সেক্টর ১-৯), খিলগাঁও পুনর্বাসন এলাকা (১০০ ফুট রাস্তার পাশে), আজিমপুর, রাজারবাগ পুনর্বাসন এলাকা (বিশ্বরোড সংলগ্ন), বারিধারা ডিওএইচএস, বসুন্ধরা (ব্লক: এ থেকে জি পর্যন্ত), ঢাকার নিকেতন এবং চট্টগ্রাম এর হালিশহর, পাঁচলাইশ, নাসিরাবাদ ও মেহেদীবাগ এলাকার দলিল মূল্যের উপর ৪% টাকা হারে অথবা প্রতি কাঠা ৯০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশী।
(২) ঢাকাস্থ গুলশান, বনানী এবং বারিধারা এলাকার দলিল মূল্যের উপর ৪% টাকা হারে অথবা প্রতি কাঠা ৩,০০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশী।
(৩) ঢাকাস্থ ধানমণ্ডি এলাকা দলিল মূল্যের উপর ৪% হারে অথবা প্রতি কাঠা ২,৪০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশী।
(৪) ঢাকাস্থ কাকরাইল, সেগুনবাগিচা, বিজয়নগর, ইস্কাটন, গ্রীণ রোড, এলিফ্যান্ট রোড, ফকিরাপুল, আরামবাগ, মগবাজার (মূল সড়ক হতে ১০০ ফুটের মধ্যে অবস্থিত), তেজগাঁও শিল্প এলাকা, শেরে বাংলানগর প্রশাসনিক এলাকা, আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকা, লালমাটিয়া, মহাখালী
ডিওএইচএস, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এবং চট্টগ্রামের খুলশী এলাকার দলিল মূল্যের উপর ৪% হারে অথবা প্রতি কাঠা ১,৮০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশী।
(৫) ঢাকাস্থ কাকরাইল, সেগুনবাগিচা, বিজয়নগর, ইস্কাটন, গ্রীণ রোড, এলিফ্যান্ট রোড এলাকা (মূল সড়ক হতে ১০০ ফুটের বাইরে অবস্থিত) দলিল মূল্যের উপর ৪% হারে অথবা প্রতি কাঠা ১,২০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশী।
(৬) ঢাকাস্থ গ্রীণ রোড (ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ৩ নং রোড হতে ৮ নং রোড পর্যন্ত) দলিল মূল্যের উপর ৪% হারে অথবা প্রতি কাঠা ২,৪০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশী।
(৭) উত্তরা (সেক্টর ১০ থেকে ১৪), নিকুঞ্জ (দক্ষিণ), নিকুঞ্জ (উত্তর), বাড্ডা পুনর্বাসন এলাকা, গেন্ডারিয়া পুনর্বাসন এলাকা, শ্যামপুর পুনর্বাসন এলাকা, আইজি বাগান পুনর্বাসন এলাকা, টঙ্গী শিল্প এলাকার দলিল মূল্যের উপর ৪% হারে অথবা প্রতি কাঠা ৬০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশী।
(৮) শ্যামপুর শিল্প এলাকা, পোস্তগোলা শিল্প এলাকা এবং জুরাইন শিল্প এলাকা দলিল মূল্যের উপর ৪% হারে অথবা প্রতি কাঠা ৪৮,০০০/= টাকা এর মধ্যে
যেটি বেশী।
(৯) খিলগাঁও পুনর্বাসন এলাকার (১০০ ফুটের কম রাস্তার পাশে), রাজারবাগ পুনর্বাসন এলাকার (৪০ ফুট রাস্তার পাশে এবং অন্যান্য অভ্যন্তরিন রাস্তার পাশে) দলিল মূল্যের উপর ৪% হারে অথবা প্রতি কাঠা ৭২,০০০/= টাকা এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ রাস্তার পাশে) যেটি বেশী।
(১০) গোড়ান (৪০ ফুট রাস্তার পাশে) এবং হাজারীবাগ ট্যানারী এলাকা দলিল মূল্যের উপর ৪% হারে অথবা প্রতি কাঠা ৩০,০০০/= টাকা এর মধ্যে যেটি বেশী।
এছাড়া জমির উপর কোন স্থাপনা (Structure), ভবন, ফ্ল্যাট, এপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেস থাকলে উক্ত স্থাপনার প্রতি বর্গমিটারের জন্য ৬০০ টাকা অথবা স্থাপনা (Structure), ভবন, ফ্ল্যাট, এপার্টমেন্ট, ফ্লোর স্পেস এর দলিল মূল্যের ৪% টাকা, এ দু’টির মধ্যে যেটি বেশী সেটি অতিরিক্ত কর হিসেবে পরিশোধ করতে হবে।
তফশিল-(c):
নিম্ন লিখিত এলাকার ভূমি, ভূমি ও বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে কাঠা প্রতি (১.৬৫ শতাংশ=১ কাঠা) উৎস কর হারঃ
(১): রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (RAJUK), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এর অধীন উপর্যুক্ত (a) এবং (b) তে উল্লিখিত এলাকা ব্যতিত অন্যান্য এলাকার জন্য দলিল মূল্যের উপর ৪% টাকা।
(২) রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (RAJUK), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ব্যতিত গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, ঢাকা এবং চট্টগ্রাম জেলা এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন ব্যতিত অন্যান্য যে কোন সিটি কর্পোরেশন এলাকা এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকার জন্য দলিল মূল্যের উপর ৩% টাকা।
(৩) যে কোন জেলা সদরের পৌরসভার ক্ষেত্রে দলিল মূল্যের উপর ৩% টাকা।
(৪) জেলা সদরের পৌরসভা ব্যতীত অন্যান্য পৌরসভার ক্ষেত্রে দলিল মূল্যের উপর ২% টাকা।
(৪) এ, বি এবং সি তফশিলে উল্লেখ করা হয় নাই এমন অন্যান্য এলাকার জন্য দলিল মূল্যের উপর ১% টাকা।
পরবর্তীতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, তাদের গত ০৯/০৭/২০১৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখের নথি নং ০৮.০১.০০০০.০৩০.০৩.০০৮.২০১৪/৫৬, পরিপত্র নং-১ (আয়কর) এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ‘53H’ এবং আয়কর বিধিমালা, ’17II’ তে আনীত সংশোধনের বিষয়ে স্পষ্টীকরণ পরিপত্র জারি করে, যা নিম্নরূপঃ
ক। ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলার যে সকল জমি/স্থাপনা গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয় এর অধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ অথবা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক ইতোপূর্বে বরাদ্দ বা বিক্রয় করা হয়েছিল, সে সকল জমি বা স্থাপনা পরবর্তীতে হস্তান্তর/বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে আয়কর বিধিমালা 17II তে উল্লিখিত তফসিল (a) ও তফসীল (b) তে বর্ণিত হারে কর আদায় করতে হবে। অন্যান্য জমি হস্তান্তর/বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে আয়কর বিধিমালা 17II তে উল্লিখিত তফসীল (c) তে বর্ণিত হারে কর আদায় করতে হবে।
খ। চট্টগ্রাম জেলার আগ্রাবাদ (আবাসিক ও বানিজ্যিক এলাকা), খুলশী, নাসিরাবাদ, হালিশহর, পাঁচলাইশ, সিডিএ এভিনিউ ও মেহেদীবাগ এলাকায় যে সকল জমি বা স্থাপনা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ অথবা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) কর্তৃক ইতোপূর্বে বরাদ্দ বা বিক্রয় করা হয়েছিল, সে সকল জমি বা স্থাপনা হস্তান্তর/বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে আয়কর বিধিমালা 17II তে উল্লিখিত তফসীল (a) ও তফশিল (b) তে বর্ণিত হারে কর আদায় করতে হবে। অন্যান্য জমি
হস্তান্তর/বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে আয়কর বিধিমালা 17II তে উল্লিখিত তফসীল (c) তে বর্ণিত হারে কর আদায় করতে হবে।
গ। ঢাকা জেলার বসুন্ধরা (ব্লক-এ থেকে ব্লক-জি পর্যন্ত) ও নিকেতন আবাসিক এলাকার দলিল রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে তফসিল (b) এর দফা (১) তে বর্ণিত হারে কর আদায় করতে হবে।
ঘ। আয়কর বিধিমালা 17II এর তফসীল (c) এর ক্রমিক (২) তে উল্লিখিত জেলাসমুহ অর্থাৎ গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, ঢাকা এবং চট্টগ্রাম জেলার রাজউক ও সিডিএ এর অধিক্ষেত্রাধীন এলাকা ব্যতীত সকল এলাকায় (সিটি কর্পোরেশন এলাকা নির্বিশেষে) দলিল মূল্যের ৩% হারে কর আদায় করতে হবে। তবে বর্ণিত জেলা সমুহের ক্ষেত্রে ‘রাজউক’ ও ‘সিডিএ’ এর অধিক্ষেত্রাধীন এলাকা সমুহে দলিল মূল্যের ৪% হারে কর আদায় করতে হবে। তাছাড়া বাংলাদেশের যে কোন সিটি কর্পোরেশন এলাকায় (রাজউক ও সিডিএ এর অধীন এলাকা সমুহ ব্যতীত) দলিল মূল্যের ৩% হারে কর আদায় করতে হবে।
উৎস করের অর্থ সোনালী ব্যাংক লিঃ এর স্থানীয় শাখায় কোড নং ১১১১১০১ তে জমা করে পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে (পুরাতন কোড ০১১১)।
ব্যবহারকারীদের সুবিধার্তে নিম্নে দুটি উদাহরণ দেয়া হলোঃ
উদাহরণ- ০১
রাজউকের আওতাধীন গুলশান বাণিজ্যিক এলাকায় ৫ কাঠা জমি বিক্রয় করা হলে এবং উক্ত জমির দলিল মূল্য ৯ কোটি টাকা হলে দলিল রেজিস্ট্রেশন কালে 53H ধারায় আয়কর হবে-
(ক) প্রতি কাঠার জন্য ১০,৮০,০০০ টাকা হারে ৫ কাঠার জন্য প্রদেয় কর ১০,৮০,০০০ টাকা * ৫ কাঠা= ৫৪,০০,০০০ টাকা।
(খ) দলিল মূল্য ৯,০০,০০,০০০ টাকার ৪% হারে = ৩৬,০০,০০০ টাকা।
সুতরাং প্রদেয় করের পরিমান হবে (ক) ও (খ) এর মধ্যে যেটি বেশি অর্থাৎ ৫৪,০০,০০০ টাকা।
উদাহরণ- ০২
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন গণপূর্ত অধিদপ্তরের আওতাধীন ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকায় রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার কোম্পানীর নিকট থেকে ক্রয়কৃত ১/২(অর্ধেক) কাঠা জমিসহ ২,৫০০ বর্গফুট বিশিষ্ট একটি আবাসিক ফ্লাটের দলিল মূল্য (জমির মূল্য ২০,০০,০০০ টাকা এবং ফ্লাটের মূল্য ৩৭,৫০,০০০ টাকা) ৫৭,৫০,০০০ টাকা হলে, 53H ধারায় আয়কর হবে-
(ক) জমির জন্য প্রদেয় করঃ-
(১) কাঠা প্রতি ২,৪০,০০০ টাকা হারে ২,৪০,০০০ টাকা * ০.৫০ কাঠা = ১,২০,০০০ টাকা।
(২) জমির মূল্য ২০,০০,০০০ টাকার ৪% হারে = ৮০,০০০ টাকা।
সুতরাং জমির জন্য প্রদেয় করের পরিমাণ (১) এবং (২) এর মধ্যে যেটি বেশি অর্থাৎ ১,২০,০০০ টাকা।
(খ) ২৫০০ বর্গফুট ফ্লাটের জন্য প্রদেয় করঃ-
(১) প্রতি বর্গমিটার ৬০০ টাকা হারে (২৫০০*৬০০) ÷১০.৭৬ = ১,৩৯,৪০৫ টাকা। সুতরাং ফ্লাটের জন্য প্রদেয় করের পরিমাণ (১) এবং
(২) এর মধ্যে যেটি বেশি, অর্থাৎ ১,৫০,০০০ টাকা। অতএব, জমি ও ফ্লাটের জন্য 53H ধারায় প্রদেয় করের পরিমাপ হবে (১,২০,০০০ টাকা + ২,২৭,০০০ টাকা) = ২,২৭,০০০ টাকা।
উৎসে আয়কর (53FF)
১। রিয়েল এস্টেট বা ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বাণিজ্যিক ভিত্তিতে প্লট বা জমি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে-
(ক) ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী ও চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত জমি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন পর্যায়ে দলিল মূল্যের উপর ৫% টাকা।
(খ) ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী ও চট্টগ্রাম জেলা ব্যতীত অন্য যে কোন এলাকায় অবস্থিত জমি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন পর্যায়ে দলিল মূল্যের উপর ৩% টাকা।
২। রিয়েল এস্টেট বা ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিল্ডিং, ফ্ল্যাট বা স্পেস বিক্রয়ের ক্ষেত্রে-
(ক) ঢাকাস্থ গুলশান মডেল টাউন, বনানী, বারিধারা, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা এবং দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকার আবাসিকের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটার ১,৬০০ টাকা, অনাবাসিকের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটার ৬,৫০০ টাকা।
(খ) ঢাকাস্থ ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, ডিফেন্স অফিসার্স হাউজিং সোসাইটি (ডিওএইচএস), মহাখালী, লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি, উত্তরা মডেল টাউন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা, কারওয়ান বাজার বাণিজ্যিক এলাকা এবং চট্টগ্রামস্থ পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা, খুলসি আবাসিক এলাকা, আগ্রাবাদ ও নাসিরাবাদ এলাকার আবাসিকের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটার ১,৫০০ টাকা, অনাবাসিকের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটার ৫০০০ টাকা।
(গ) উপরের (ক) এবং (খ) তে বর্ণিত এলাকা ব্যতীত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ
সিটি কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার আবাসিকের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটার ১,০০০ টাকা, অনাবাসিকের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটার ৩,৫০০ টাকা।
(ঘ) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ব্যতীত
অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনভুক্ত এলাকার আবাসিকের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটার ৭০০ টাকা, অনাবাসিকের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটার ২,৫০০ টাকা।
(ঙ) উপরের (ক), (খ), (গ) এবং (ঘ) ব্যতীত অন্যান্য এলাকার আবাসিকের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটার ৩০০ টাকা, অনাবাসিকের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটার ১,২০০ টাকা।
তবে, অনধিক ৭০ বর্গমিটার পর্যন্ত (কমন স্পেসসহ) আয়তন বিশিষ্ট আবাসিক এপার্টমেন্ট এর জন্য উৎস করের হার ২০% কম হবে এবং অনধিক ৬০ বর্গমিটার পর্যন্ত (কমন স্পেসসহ) আয়তন বিশিষ্ট আবাসিক এপার্টমেন্ট জন্য উৎস করের হার ৪০% কম হবে।
(উল্লেখ্য, আবাসিক ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে নির্মিত দালান বা এপার্টমেন্ট বা কোন স্পেস এর ক্ষেত্রে এ শর্ত প্রযোজ্য নয়)
ব্যবহারকারীদের সুবিধার্তে নিম্নে উদাহরণ দেয়া হলোঃ
উদাহরণঃ- ০১
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন গণপূর্ত অধিদপ্তরের আওতাধীন ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকায় রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার কোম্পানীর নিকট থেকে ক্রয়কৃত ১/২(অর্ধেক) কাঠা জমিসহ ২,৫০০ বর্গফুট বিশিষ্ট একটি আবাসিক ফ্লাটের দলিল মূল্য (জমির মূল্য ২০,০০,০০০ টাকা এবং ফ্লাটের মূল্য ৩৭,৫০,০০০ টাকা) ৫৭,৫০,০০০ টাকা হলে, 53FF ধারায় আয়কর হবে-
প্রতি বর্গমিটার ১,৫০০ টাকা হারে প্রদেয় করের পরিমাপ হবে (১৫০০*২৫০০) ÷ ১০.৭৬ = ৩,৪৮,৫১৩ টাক।
বিঃদ্রঃ [রিয়েল এস্টেট বা ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্যবসায় নিয়োজিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক জমি বা ফ্লাট বিক্রয়ের ক্ষেত্রে উক্ত জমি বা ফ্লাট রেজিস্ট্রেশনের সময় আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর 53FF ধারায় কর পরিশোধের পাশাপাশি পূর্বের ন্যায় 53H ধারায়ও প্রযোজ্য কর পরিশোধ করতে হবে। {উৎসঃ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর ০৯/০৭/২০১৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখের নথি নং ০৮.০১.০০০০.০৩০.০৩.০০৮.২০১৪/৫৬, পরিপত্র নং-১ (আয়কর)}]
ভ্যাট (VAT)
ফ্লাট এর ভ্যাট (ভবন নির্মান সংস্থার ক্ষেত্রে):
১। ফ্লাট এর আয়তন ১৬০০ বর্গফুট পর্যন্ত হলে দলিল মূল্যের ২% টাকা।
২। ফ্লাট এর আয়তন ১৬০১ বর্গফুট হইতে তদুর্ধ হলে দলিল মূল্যের ৪.৫% টাকা।
৩। পুনঃরেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে যে কোন আয়তনের ফ্লাটের জন্য দলিল মূল্যের ২% টাকা।
প্লট এর ভ্যাট (ভূমি উন্নয়ন সংস্থার ক্ষেত্রে): দলিল মূল্যের ৩% টাকা।
এছাড়া:
১। ৩০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা।
২। ই- ফিঃ- ১০০ টাকা।
৩। এন- ফিঃ-
(!) বাংলায় প্রতি ৩০০ (তিন শত) শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ১৬ টাকা।
(!!) ইংরেজি ভাষায় প্রতি ৩০০ (তিন শত) শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ২৪ টাকা।
৪। (নকলনবিশগনের পারিশ্রমিক) এনএন ফিসঃ-
(!) বাংলায় প্রতি ৩০০ (তিনশত) শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ২৪ টাকা।
(!!) ইংরেজি ভাষায় প্রতি ৩০০ (তিনশত) শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ৩৬ টাকা।
৫। সম্পত্তি হস্তান্তর নোটিশের আবেদনপত্রে ১০ টাকা মূল্যের কোর্ট ফি।
মন্তব্যঃ-
১। এন- ফি ও ই- ফি, রেজিস্ট্রেশন ফি এর সাথে পে-অর্ডারের মাধ্যমে কোড নং ১৪২২২০১ তে জমা করতে হবে (পুরাতন কোড ১৮২৬)।
২। এনএন- ফি নগদে রেজিস্ট্রি অফিসে জমা করতে হবে।
৩। সরকার নির্ধারিত হলফনামা, ২০০ টাকার স্টাম্পে প্রিন্ট করে মূল দলিলের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
৪। সম্পত্তি হস্তান্তরের আবেদনপত্রে কোর্ট ফি লাগাতে হবে।
বিঃদ্রঃ ১। আদালত কর্তৃক অগ্রক্রয় দলিলে ডিক্রি প্রাপ্ত হলে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ত্ব (সংশোধনী) আইন ২০০৬ এর ৯ (ই) ধারা মোতাবেক স্টাম্প শুল্ক ,কর ও ফি মওকুফ। তবে ই-ফি ও এন-ফি আদায়যোগ্য।
২। সরকার কর্তৃক বা সরকারের পক্ষে অথবা সরকারের অনুকূলে সম্পাদিত কোন দলিলের স্টাম্পশুল্ক যদি সরকারকে দিতে হয়, তবে তা মওকুফ (১৮৯৯ সালের স্টাম্প আইনের ধারা ৩) এবং স্টাম্প শুল্ক ধার্য না হলে সে দলিলে রেজিস্ট্রেশন ফিসও প্রযোজ্য হবে না [১৮৯৯ সালের স্টাম্প আইনের ধারা ৩(১)]।
৩। সিটি কর্পোরেশনাধীন বা জেলা সদরের পৌরসভাভুক্ত ১ লক্ষ টাকার অধিক মূল্যের জমি বা দালান ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতার E-TIN সনদ দাখিল বাধ্যতামূলক। যৌথনামে ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোন অংশীদারের ১ লক্ষ টাকার অধিক মূল্যের জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে E-TIN সনদ দাখিল বাধ্যতামূলক। নাবালকের ক্ষেত্রে আইনগত অভিভাবকের E-TIN সনদ দাখিল করতে হবে। অনাবাসী বাংলাদেশীর ক্ষেত্রে E-TIN সনদ দাখিল বাধ্যতামূলক নয়।
৪। VAT এবং উৎস কর বা আয়করের অর্থ বিক্রেতা পক্ষ পরিশোধ করবেন। বাকী সকল খরচ ক্রেতা পক্ষ পরিশোধ করবেন।
৫। রেজিস্ট্রেশন ম্যানুয়াল, ২০১৪ এর ২য় খণ্ডে উল্লিখিত পে-অর্ডারের মাধ্যমে দলিল রেজিস্ট্রেশন ফি পরিশোধ বিধিমালা, ২০০৭ এর ৪ (২) নম্বর বিধি অনুসারে পে অর্ডারের মূল কপির সাথে উহার একটি অনুলিপি দাখিল করতে হবে।
দলিল রেজিস্ট্রেশন ফি: (ক) বায়নাকৃত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্য অনুর্ধ ৫ লক্ষ টাকা হলে- ৫০০ টাকা। [রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮এ (এ) (অ) অনুসারে]
(খ) বায়নাকৃত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্য অনুর্ধ ৫০ লক্ষ টাকা হলে- ১০০০ টাকা। [রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮এ (এ) (আ) অনুসারে]
(গ) বায়নাকৃত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্য ৫০ লক্ষ টাকার উর্ধে হলে- ২০০০ টাকা। [রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮এ (এ) (ই) অনুসারে]
রেজিস্ট্রেশন ফি পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানীয় সোনালী ব্যাংক লিঃ এ, কোড নং ১৪২২২০১ তে জমা করতে হবে (পুরাতন কোড ১৮২৬)।
স্টাম্প শূল্কঃ ৩০০ টাকা। (১৮৯৯ সালের স্টাম্প আইনের ১ নম্বর তফশিলের ৫ নম্বর ক্রমিকে উল্লিখিত বর্ণনা অনুসারে)।
এছাড়া
১। ৩০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা।
২। ই- ফিঃ- ১০০ টাকা।
৩। এন- ফিঃ-
(!) বাংলায় প্রতি ৩০০ (তিন শত) শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ১৬ টাকা।
(!!) ইংরেজি ভাষায় প্রতি ৩০০ (তিন শত) শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ২৪ টাকা।
৪। (নকলনবিশগনের পারিশ্রমিক) এনএন ফিসঃ-
(!) বাংলায় প্রতি ৩০০ (তিনশত) শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ২৪ টাকা।
(!!) ইংরেজি ভাষায় প্রতি ৩০০ (তিনশত) শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ৩৬ টাকা।
মন্তব্যঃ-
১। এন- ফি ও ই- ফি, রেজিস্ট্রেশন ফি এর সাথে পে-অর্ডারের মাধ্যমে কোড নং ১৪২২২০১ তে জমা করতে হবে (পুরাতন কোড ১৩১১)।
২। এনএন- ফি নগদে রেজিস্ট্রি অফিসে জমা করতে হবে।
৩। সরকার নির্ধারিত হলফনামা, ৩০০ টাকার স্টাম্পে প্রিন্ট করে মূল দলিলের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
বিঃদ্রঃ ১। রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর ১৭এ (২) ধারা অনুসারে, বায়নাপত্র সম্পাদনের ৩০ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশনের জন্য দাখিল করতে হবে।
২। বায়নাপত্র উভয়পক্ষ দ্বারা সম্পাদিত হবে। [রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর ১৭এ (১) ধারা অনুসারে]
৩। বায়নাপত্রের একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকবে, যা বায়নাপত্র রেজিস্ট্রির তারিখ হতে কার্যকর। {In a contract for sale of any immovable property, a time, to be effected from the date of registration, shall be mentioned for execution and registration of the instrument of sale, and if no time is mentioned, six months shall be deemed to be the time. (Article 54A of The Transfer of Property Act 1882)}
৪। সম্পত্তির দখল প্রদান করা হলে মোট মূল্যের উপর শূল্ক, ফি ও কর প্রযোজ্য।
৫। সিটি কর্পোরেশন বা জেলা সদরের পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত এক লক্ষ টাকার অধিক মূল্যের বায়নাপত্র দলিল রেজিস্ট্রির ক্ষেত্রে ই-টিন বাধ্যতামূলক।
দলিল রেজিস্ট্রেশন ফিঃ (ক) বন্টনকৃত সম্পত্তির দলিলে লিখিত (বৃহত্তম এক পক্ষের অংশের মূল্য বাদ দিয়ে) মোট মূল্য অনুর্ধ ৩ লক্ষ টাকা হলে ৫০০ টাকা (রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮বি (১) অনুসারে)।
(খ) বন্টনকৃত সম্পত্তির দলিলে লিখিত (বৃহত্তম এক পক্ষের অংশের মূল্য বাদ দিয়ে) মোট মূল্য অনুর্ধ ১০ লক্ষ টাকা হলে ৭০০ টাকা (রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮বি (২) অনুসারে)।
(গ) বন্টনকৃত সম্পত্তির দলিলে লিখিত (বৃহত্তম এক পক্ষের অংশের মূল্য বাদ দিয়ে) মোট মূল্য অনুর্ধ ৩০ লক্ষ টাকা হলে ১২০০ টাকা (রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮বি (৩) অনুসারে)।
(ঘ) বন্টনকৃত সম্পত্তির দলিলে লিখিত (বৃহত্তম এক পক্ষের অংশের মূল্য বাদ দিয়ে) মোট মূল্য অনুর্ধ ৫০ লক্ষ টাকা হলে ১৮০০ টাকা (রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮বি (৪) অনুসারে)।
(ঙ) বন্টনকৃত সম্পত্তির দলিলে লিখিত (বৃহত্তম এক পক্ষের অংশের মূল্য বাদ দিয়ে) মোট মূল্য ৫০ লক্ষ টাকার উর্ধে হলে ২০০০ টাকা (রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮বি (৫) অনুসারে)।
(দলিলের মূল্য ২৪,০০০ টাকা বা তার কম হলে নগদ অর্থে এবং ২৪,০০০ টাকার বেশি হলে পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানীয় সোনালী ব্যাংক লিঃ এ, কোড নং ১.২১৬১.০০০০.১৮২৬ তে জমা করতে হবে।)
স্টাম্প শূল্কঃ ১০০ টাকা (১৮৯৯ সালের স্টাম্প আইনের ১ নম্বর তফশিলের ৪৪ নম্বর ক্রমিকে উল্লিখিত বর্ণনা অনুসারে)।
এছাড়া ৩০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা, ই-ফি ১০০ টাকা, এন-ফি-দলিলের প্রতিটি ৩০০ শব্দের দুই পৃষ্টার অতিরিক্ত প্রতি পৃষ্টার জন্য ৪০ টাকা হারে ও সম্পত্তি হস্তান্তর নোটিশের আবেদনপত্রে ১০ টাকা মূল্যের কোর্ট ফি লাগবে।
দলিল রেজিস্ট্রেশন ফি , ই-ফিস এবং এন-ফিস সোনালী ব্যাংক লিঃ এ একত্রে কোড নং ১.২১৬১.০০০০.১৮২৬ তে পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা করতে হবে।
বিঃদ্রঃ ১। ওয়ারিশী স্হাবর সম্পত্তি ব্যতিত অন্যভাবে অর্জিত স্হাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত বন্টন নামা দলিলের ক্ষেত্রে উৎস কর প্রযোজ্য।
২। রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ১৪৩ বি, ধারা মোতাবেক কোন রেকর্ডীয় মালিক মৃত্যুবরণ করলে তাঁর ওয়ারিশগণ নিজেদের মধ্যে একটি বন্টননামা সম্পাদন করে রেজিস্ট্রি করবেন।
দলিল রেজিস্ট্রেশন ফি ১০০ টাকা (রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮এ (বি) নং অনুসারে।
স্টাম্প শুল্কঃ ১০০০ টাকা (১৮৯৯ সালের স্টাম্প আইনের ১ নম্বর তফশিলের ৩২(i) নম্বর ক্রমিকে উল্লিখিত বর্ণনা অনুসারে)।
এছাড়া
১। ৩০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা।
২। ই- ফিঃ- ১০০ টাকা।
৩। এন- ফিঃ-
(!) বাংলায় প্রতি ৩০০ (তিন শত) শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ১৬ টাকা।
(!!) ইংরেজি ভাষায় প্রতি ৩০০ (তিন শত) শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ২৪ টাকা।
৪। (নকলনবিশগনের পারিশ্রমিক) এনএন ফিসঃ-
(!) বাংলায় প্রতি ৩০০ (তিনশত) শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ২৪ টাকা।
(!!) ইংরেজি ভাষায় প্রতি ৩০০ (তিনশত) শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ৩৬ টাকা।
৫। সম্পত্তি হস্তান্তর নোটিশের আবেদনপত্রে ১০ টাকা মূল্যের কোর্ট ফি।
মন্তব্যঃ-
১। সকল ফি নগদে রেজিস্ট্রি অফিসে জমা করতে হবে।
২। সরকার নির্ধারিত হলফনামা, ৩০০ টাকার স্টাম্পে প্রিন্ট করে মূল দলিলের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
৩। সম্পত্তি হস্তান্তরের আবেদনপত্রে কোর্ট ফি লাগাতে হবে।
এই দলিলের মাধ্যমে আপন ভাই-বোন, পিতা/মাতা-ছেলে/মেয়ে, স্বামী-স্ত্রী, দাদা/দাদী-নাতী/নাতনী, নানা/নানী-নাতী/নাতনী এই কয়েকটি সম্পর্কের মধ্যে সম্পত্তি হস্তান্তর করা যায় (রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮, এর ধারা ৭৮এ (বি) নং অনুসারে।
আরো বিস্তারিত দেখুনঃ আইন ও বিচার বিভাগঃ জমি নিবন্ধন ফি PDF
আইন তো ভালো। কিন্তু পাবলিক না জানার কারণে দলিল লেখকগন ইচ্ছা মতো টাকা নেন। দলিল লেখকগন কত টাকা নিবেন তার একটা হার নির্ধারণ করে দিলে ভালো হয়।
এটা সরকার কতৃক নির্ধারিত হয়নি
নারায়ণগঞ্জ (সাইনবোর্ড) এলাকায় ১৩ লাখ টাকা মূল্যের জমিতে জমি রেজিস্ট্রি ফি কতো টাকা হতে পারে?
পরিমাপ করার জন্য দলিল রেজিস্ট্রেশন ক্যালকুলেটর ব্যবহার করুন
উৎসে কর 53H এবং উৎসে আয়কর 53FF এর মধ্যে পার্থক্য কি দয়া করে জানাবেন
কিছু নীতিগত পার্থক্য রয়েছে। আর সব ই এক
স্যার আমার প্রশ্ন হলো প্রান্তিক গ্রাম এর দিকে ( সিটি কর্পোরেশনের বাহিরে ) ধানি ( ধান ক্ষাত ) জমি ৬২,০০০ শতাংশ হারে
( ৬২০০০ × ১৫ ) কত টাকা জমির দলিল খরচ আসতে পারে ?
আনুমানিক ৬৮৫১০.০ টাকার মতন, কম বা বেশি হতে পারে।
স্ট্যাম্পে জমির মূল্য
৫৮০০০×২ শতাংশ = ১১৬০০০টাকা
৫৪০০০×.৫০ শতাংশ = ২৭০০০টাকা
মোট= ১৪৩০০০টাকা
লিখলে সাফ কবলা দলিল রেজিস্ট্রি করতে সর্বমোট কত টাকা খরচ লাগবে?
যায়গার অবস্থানের উপর রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারণ হয় । দয়া করে যায়গার অবস্থান বলুন
পৌরসভা এলাকায় ১২০০০০০ টাকার রাস্তা সহ উল্লেখ করে দলিল করলে কত খরচ হবে
১২ লক্ষ টাকা জমির মূল্য হিসাব অনুযায়ী ২০ পেইজের দলিল ক্যালকুলেশন মোট খরচের পরিমাণ হতে পারে আনুমানিক ১৩৯৬১০ টাকা। আলাদা আলাদা জেলা পর্যায়ে একটি ভিন্ন হতে পারে